ঢাকা ০৬:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ড্রোন ক্যামেরার প্রকারভেদ ও কাজের ধরণ

ড্রোন ক্যামেরার প্রকারভেদ ও কাজের ধরণ

ড্রোন ক্যামেরা হল বিশেষ ধরণের ক্যামেরা যা ড্রোনে সংযুক্ত থাকে। ড্রোন হলো বহু-রোটর বিমান যা রিমোট কন্ট্রোল বা স্বায়ত্তশাসিতভাবে উড়তে পারে। ড্রোন ক্যামেরাগুলি ছবি এবং ভিডিও তোলার জন্য ব্যবহার করা হয়, যা সাধারণ ক্যামেরা দিয়ে অ্যাক্সেস করা অসম্ভব এমন দৃষ্টিকোণ থেকে ক্যাপচার করা হয়। নিম্নে প্রচলিত কাজের জন্য ব্যবহৃত ড্রোন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে যা প্রাথমিক ভাবে মোটামুটি ধারণা পাওয়া যাবে।

কনজিউমার ড্রোন: এই ড্রোনগুলি সাধারণত হালকা, ব্যবহার করা সহজ এবং তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী মূল্যের। এগুলি উচ্চ-মানের ছবি এবং ভিডিও ক্যাপচার করতে সক্ষম, যা তাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাদার উভয় উদ্দেশ্যেই জনপ্রিয় করে তোলে। কিছু জনপ্রিয় কনজিউমার ড্রোনের মধ্যে রয়েছে DJI Mavic Air 2, Parrot Anafi এবং Skydio 2। এই ধরনের ড্রোনের দাম তুলনামুলক অন্যান্য ড্রোনের তুলনায় কম।

প্রোফেশনাল ড্রোন: এই ড্রোনগুলি আরও উন্নত বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতা সহ কনজিউমার ড্রোনগুলির চেয়ে বড় এবং ভারী হয়। এগুলি উচ্চ-মানের ছবি এবং ভিডিও ক্যাপচার করতে সক্ষম, এমনকি কম আলোর অবস্থায়ও। কিছু জনপ্রিয় প্রোফেশনাল ড্রোনের মধ্যে রয়েছে DJI Inspire 2, ARRI Amira এবং Freefly Alta 6। প্রফেশনাল ড্রনের দাম বেশি হয়ে থাকে তবে ব্র্যান্ড ভেদে প্রফেশনাল ড্রোন এর দাম কম বা বেশি হতে পারে।

সার্ভেয়িং বা ম্যাপিং ড্রোন: এই ড্রোনগুলি বিশেষভাবে উচ্চ-রেজোলিউশনের ছবি এবং ভিডিও ক্যাপচার করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যা পরিপূর্ণ মানচিত্র তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলোর GPS সহ  অন্যান্য সেন্সর দিয়ে তৈরি করা থাকে যা সঠিকভাবে ট্র্যাক করতে এবং তথ্য সংগ্রহ করতে সাহায্য করে। কিছু জনপ্রিয় ম্যাপিং ড্রোনের মধ্যে রয়েছে DJI Phantom 4 Pro, Parrot Disco এবং MicaSense AltAir.

ডেলিভারি ড্রোন: এই ড্রোনগুলি পণ্য এবং সরবরাহ দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে সরবরাহ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এগুলি প্রায়শই স্বায়ত্তশাসিত ফ্লাইট ক্ষমতা এবং কার্গো বহন করার জন্য বিশেষ ডিজাইনে তৈরি করা হয়। কিছু জনপ্রিয় ডেলিভারি ড্রোনের মধ্যে রয়েছে DJI Wing, Matternet M2 এবং Zipline Zip 2। তবে এই ধরনের ড্রোনের ব্যবহার বাংলাদেশের মধ্যে এখনো শুরু হয় নাই।

কৃষি ড্রোন: এই ড্রোনগুলো ফসলের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ, কীটপতঙ্গ এবং রোগের নজরদারি এবং কীটনাশক এবং সার স্প্রে করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এগুলোতে বিশেষ সেন্সর এবং অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে তৈরি করা থাকে যা কৃষক তাদের ফসলগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারে। কিছু জনপ্রিয় কৃষি ড্রোনের মধ্যে রয়েছে DJI Agras MG-1, Parrot Agrisense এবং PrecisionHawk Lancaster.

নিরাপত্তা এবং নজরদারি ড্রোন: এই ড্রোনগুলো সাধারণত আইন প্রয়োগকারী, সামরিক এবং বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোর জন্য তৈরি করা হয়। শুধুমাত্র প্রসাশনিক মানুষ ছাড়া এই ধরনের ড্রোন অন্য কেউ ক্রয় করার অনুমতি পায় না। এই ধরনের ড্রোন দিয়ে সম্পত্তি পর্যবেক্ষণ, আইন প্রয়োগ এবং অনুসন্ধান এবং উদ্ধার কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়।

উপরোক্ত ড্রোনগুলো কাজের ধরনের উপরে এর প্রকারভেদ করা হয়েছে। কাজ অনুযায়ী তাদের ধরণ ভিন্ন হয়ে থাকে এবং ড্রোন ক্যামেরার দাম এরও অনেক কম বেশি হয়। কেনার আগে অবশ্যই দাম চেক করে নিয়ে ক্রয় করতে হবে। দাম জানার জন্য বিডিস্টল এর ওয়েবসাইট ভিজিট করে বর্তমান ড্রোন ক্যামেরার দাম জেনে নিতে পারবেন।

সর্বাধিক পঠিত

প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধই থাকছে, আগামীকাল খুলছে না

ড্রোন ক্যামেরার প্রকারভেদ ও কাজের ধরণ

আপডেট: ০৪:০২:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

ড্রোন ক্যামেরা হল বিশেষ ধরণের ক্যামেরা যা ড্রোনে সংযুক্ত থাকে। ড্রোন হলো বহু-রোটর বিমান যা রিমোট কন্ট্রোল বা স্বায়ত্তশাসিতভাবে উড়তে পারে। ড্রোন ক্যামেরাগুলি ছবি এবং ভিডিও তোলার জন্য ব্যবহার করা হয়, যা সাধারণ ক্যামেরা দিয়ে অ্যাক্সেস করা অসম্ভব এমন দৃষ্টিকোণ থেকে ক্যাপচার করা হয়। নিম্নে প্রচলিত কাজের জন্য ব্যবহৃত ড্রোন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে যা প্রাথমিক ভাবে মোটামুটি ধারণা পাওয়া যাবে।

কনজিউমার ড্রোন: এই ড্রোনগুলি সাধারণত হালকা, ব্যবহার করা সহজ এবং তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী মূল্যের। এগুলি উচ্চ-মানের ছবি এবং ভিডিও ক্যাপচার করতে সক্ষম, যা তাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাদার উভয় উদ্দেশ্যেই জনপ্রিয় করে তোলে। কিছু জনপ্রিয় কনজিউমার ড্রোনের মধ্যে রয়েছে DJI Mavic Air 2, Parrot Anafi এবং Skydio 2। এই ধরনের ড্রোনের দাম তুলনামুলক অন্যান্য ড্রোনের তুলনায় কম।

প্রোফেশনাল ড্রোন: এই ড্রোনগুলি আরও উন্নত বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতা সহ কনজিউমার ড্রোনগুলির চেয়ে বড় এবং ভারী হয়। এগুলি উচ্চ-মানের ছবি এবং ভিডিও ক্যাপচার করতে সক্ষম, এমনকি কম আলোর অবস্থায়ও। কিছু জনপ্রিয় প্রোফেশনাল ড্রোনের মধ্যে রয়েছে DJI Inspire 2, ARRI Amira এবং Freefly Alta 6। প্রফেশনাল ড্রনের দাম বেশি হয়ে থাকে তবে ব্র্যান্ড ভেদে প্রফেশনাল ড্রোন এর দাম কম বা বেশি হতে পারে।

সার্ভেয়িং বা ম্যাপিং ড্রোন: এই ড্রোনগুলি বিশেষভাবে উচ্চ-রেজোলিউশনের ছবি এবং ভিডিও ক্যাপচার করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যা পরিপূর্ণ মানচিত্র তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলোর GPS সহ  অন্যান্য সেন্সর দিয়ে তৈরি করা থাকে যা সঠিকভাবে ট্র্যাক করতে এবং তথ্য সংগ্রহ করতে সাহায্য করে। কিছু জনপ্রিয় ম্যাপিং ড্রোনের মধ্যে রয়েছে DJI Phantom 4 Pro, Parrot Disco এবং MicaSense AltAir.

ডেলিভারি ড্রোন: এই ড্রোনগুলি পণ্য এবং সরবরাহ দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে সরবরাহ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এগুলি প্রায়শই স্বায়ত্তশাসিত ফ্লাইট ক্ষমতা এবং কার্গো বহন করার জন্য বিশেষ ডিজাইনে তৈরি করা হয়। কিছু জনপ্রিয় ডেলিভারি ড্রোনের মধ্যে রয়েছে DJI Wing, Matternet M2 এবং Zipline Zip 2। তবে এই ধরনের ড্রোনের ব্যবহার বাংলাদেশের মধ্যে এখনো শুরু হয় নাই।

কৃষি ড্রোন: এই ড্রোনগুলো ফসলের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ, কীটপতঙ্গ এবং রোগের নজরদারি এবং কীটনাশক এবং সার স্প্রে করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এগুলোতে বিশেষ সেন্সর এবং অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে তৈরি করা থাকে যা কৃষক তাদের ফসলগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারে। কিছু জনপ্রিয় কৃষি ড্রোনের মধ্যে রয়েছে DJI Agras MG-1, Parrot Agrisense এবং PrecisionHawk Lancaster.

নিরাপত্তা এবং নজরদারি ড্রোন: এই ড্রোনগুলো সাধারণত আইন প্রয়োগকারী, সামরিক এবং বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোর জন্য তৈরি করা হয়। শুধুমাত্র প্রসাশনিক মানুষ ছাড়া এই ধরনের ড্রোন অন্য কেউ ক্রয় করার অনুমতি পায় না। এই ধরনের ড্রোন দিয়ে সম্পত্তি পর্যবেক্ষণ, আইন প্রয়োগ এবং অনুসন্ধান এবং উদ্ধার কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়।

উপরোক্ত ড্রোনগুলো কাজের ধরনের উপরে এর প্রকারভেদ করা হয়েছে। কাজ অনুযায়ী তাদের ধরণ ভিন্ন হয়ে থাকে এবং ড্রোন ক্যামেরার দাম এরও অনেক কম বেশি হয়। কেনার আগে অবশ্যই দাম চেক করে নিয়ে ক্রয় করতে হবে। দাম জানার জন্য বিডিস্টল এর ওয়েবসাইট ভিজিট করে বর্তমান ড্রোন ক্যামেরার দাম জেনে নিতে পারবেন।