ছবি: ইন্টারনেট
বিশ্বজুড়ে স্বর্ণের দাম বেড়েই চলেছে। ফলে অনেকেই স্বর্ণে বিনিয়োগ করাকে এই মুহূর্তের ভালো সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন। তবে মিশরের জনগণ স্বর্ণ নয়, বরং রূপায় বিনিয়োগ শুরু করেছেন।
অর্থনৈতিক সংকটে মিশরের আর্থিক পরিস্থিতির সঙ্গে সামাল দিতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে এর চাহিদা। একসময়ের স্বর্ণ সমৃদ্ধ দেশটিতে এখন পুরোপুরি নির্ভরশীল রূপার জগতে।
এককালে সম্পদে পরিপূর্ণ মিশরে স্বর্ণকে ঐশ্বরিক ধাতু হিসেবে বিবেচনা করে হতো। সময়ের তালে নিজেদের প্রায় সবকিছু হারিয়েছে মিশরীয়রা। বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় স্বর্ণ তাদের সাধ্যের বাইরে। তাই নির্ভরতা বাড়ছে রূপায়। যার মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে দেশটির দুর্বল অর্থনীতির চিত্র।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিশরে বর্তমান মূল্যস্ফীতি ৩০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইজেপ্টশিয়ান পাউন্ড অবস্থান হারিয়েছে ৫০ শতাংশ। বছর ব্যবধানে ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ১২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১২৬ ডলারে পৌঁছেছে। দেশটির ১১ কোটি জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বসবাস দরিদ্র্যসীমার নিচে। যাদের সামর্থ্যের বাইরে চলে গেছে স্বর্ণ। তাই তাদের কাছে বাড়ছে রূপার চাহিদা।
মিশরীয় এক বিক্রেতা বলেন, স্বর্ণের যেভাবে দাম বাড়ছে, অনেকেই ধাতুটি বদলে রূপার গয়না কিনছেন। শিগগিরই স্বর্ণের বিকল্প হয়ে উঠবে রূপা। তিনি আরও বলেন,স্বর্ণ বা রূপার দাম দিন দিন বাড়ছে। তাই ক্রেতারা এটি কিনে রাখেন ভবিষ্যতে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে।
দেশটির এক ক্রেতা বলেন, স্বর্ণ বা রূপার দাম বাড়বে অথবা স্থির থাকবে। কিন্তু স্বর্ণ কিনে রাখার মতো অত অর্থ আমার এখনও নেই। এই কারণে আমি রূপা কিনে রাখছি।
হঠাৎ চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে ধাতুটির দামও। বছর ব্যবধানে এক গ্রাম রূপার দাম দ্বিগুন হয়ে দেড় ডলারে ঠেকেছে। স্বর্ণের মূল্যের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে রূপার দিকে নজর বাড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ।