ঢাকা ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ

বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সরাসরি অনুভূত হচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর পাশাপাশি বাংলাদেশে মানবসৃষ্ট কার্বন নিঃসরণ এর কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। শিল্পায়ন, যানবাহনের ব্যবহার এবং জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডসহ বিভিন্ন গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের দেশের অর্থনীতি, সমাজ এবং পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাতের অস্বাভাবিকতা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষিখাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অতিবৃষ্টি বা খরা, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, কীটপতঙ্গের আক্রমণ ইত্যাদির ফলে ফসলের উৎপাদন কমে যাচ্ছে, খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে এবং কৃষকদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ছে। উপকূলীয় অঞ্চলগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ক্রমাগত ক্ষয় হচ্ছে, লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে ফসল নষ্ট হচ্ছে এবং মানুষের বসবাসের উপযোগীতা হারাচ্ছে।

নিচে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। চলুন, জেনে নেয়া যাক বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে কোন কোন বিষয়গুলো সরাসরি সম্পৃক্ত।

যেসব কারণে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে এবং জলবায়ু পরিবর্তন হয়ে বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তা নিচে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণগুলো হলো —

গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ

 বিশ্বব্যাপী শিল্পায়ন, যানবাহন ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বাড়ার ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডসহ বিভিন্ন গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই গ্যাসগুলো সূর্যের তাপকে আটকে রেখে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করছে, যার ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠ উচ্চতা বৃদ্ধি, বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা বাড়ছে। বাংলাদেশের মতো একটি নিম্নবর্তী দেশের জন্য এই পরিবর্তনগুলি অত্যন্ত হুমকিস্বরূপ।

গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণকে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রধান কারণ হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, পুরো পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন করার পিছনে গ্রিনহাউস গ্যাসের ভূমিকা রয়েছে।

বন উজাড়

বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো বন উজাড় করা। বন আমাদের গ্রহের ফুসফুস হিসেবে কাজ করে। এরা বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন নিঃসরণ করে। কিন্তু বাংলাদেশে বন ধ্বংসের হার অনেক বেশি। বন উজাড় করার ফলে এই প্রক্রিয়াটি ব্যাহত হচ্ছে এবং বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে। এই অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে কাজ করে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে।

বন উজাড় করার ফলে বাংলাদেশে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা ও ঘন ঘন ঘটনা বাড়ছে। বনগুলো মাটির ক্ষয় রোধ করে এবং পানির স্তর বজায় রাখে। বন ধ্বংসের ফলে মাটির উর্বরতা হ্রাস পায়, নদী-নালা ভরাট হয়ে যায় এবং বন্যা ও খরা সংঘটিত হয়। এছাড়াও, বন উজাড়ের ফলে জীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

 

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি

গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে এবং সমুদ্রপানির আয়তন বাড়ছে, ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের মতো একটি নিম্নভূমি দেশের জন্য এই পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ।

সমুদ্রপৃষ্ঠ উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলো ক্রমাগত ক্ষয় হচ্ছে, লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে ফসল নষ্ট হচ্ছে এবং মানুষের বসবাসের উপযোগীতা হারাচ্ছে। এছাড়াও, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস এবং ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা বাড়ছে। এর ফলে কৃষি উৎপাদন কমে যাচ্ছে, খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে এবং অসংখ্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে।

 

অন্যান্য মানবিক কারণ

জনসংখ্যা বৃদ্ধি, শহুরীকরণ, এবং অপরিকল্পিত উন্নয়নও জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রাখছে। অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন বড় নদীর পাশে শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে এবং সেসব শিল্প-কারখানার বর্জ্য পদার্থ নদীর পানিতে ফেলা হচ্ছে। এতে করে নদীতে থাকা মাছ এবং অন্যান্য প্রাণী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এসব কারণেও বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে।

 

এছাড়াও, শহরের দিকে মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি হওয়ার কারণে শহরে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা গড়ে উঠছে। এসব শিল্প-কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া পরিবেশ দূষিত করছে। বিভিন্ন যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া পরিবেশ দূষিত করার মাধ্যমে দেশের জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব ফেলছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধিও জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রধান কারণ। অপরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলার কারণে দেশের পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে।

 

গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ, বন উজাড়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং অন্যান্য মানবিক কারণে বাংলাদেশের জলবায়ু ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ বৃদ্ধিই এসব কারণগুলোর মাঝে অন্যতম। দেশের জলবায়ু পরিবর্তন হওয়ার কারণে জনজীবন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং দেশের অর্থনীতি, সমাজ এবং পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

 

সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ

আপডেট: ০২:২১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সরাসরি অনুভূত হচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর পাশাপাশি বাংলাদেশে মানবসৃষ্ট কার্বন নিঃসরণ এর কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। শিল্পায়ন, যানবাহনের ব্যবহার এবং জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডসহ বিভিন্ন গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের দেশের অর্থনীতি, সমাজ এবং পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাতের অস্বাভাবিকতা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষিখাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অতিবৃষ্টি বা খরা, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, কীটপতঙ্গের আক্রমণ ইত্যাদির ফলে ফসলের উৎপাদন কমে যাচ্ছে, খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে এবং কৃষকদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ছে। উপকূলীয় অঞ্চলগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ক্রমাগত ক্ষয় হচ্ছে, লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে ফসল নষ্ট হচ্ছে এবং মানুষের বসবাসের উপযোগীতা হারাচ্ছে।

নিচে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। চলুন, জেনে নেয়া যাক বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে কোন কোন বিষয়গুলো সরাসরি সম্পৃক্ত।

যেসব কারণে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে এবং জলবায়ু পরিবর্তন হয়ে বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তা নিচে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণগুলো হলো —

গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ

 বিশ্বব্যাপী শিল্পায়ন, যানবাহন ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বাড়ার ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডসহ বিভিন্ন গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই গ্যাসগুলো সূর্যের তাপকে আটকে রেখে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করছে, যার ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠ উচ্চতা বৃদ্ধি, বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা বাড়ছে। বাংলাদেশের মতো একটি নিম্নবর্তী দেশের জন্য এই পরিবর্তনগুলি অত্যন্ত হুমকিস্বরূপ।

গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণকে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রধান কারণ হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, পুরো পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন করার পিছনে গ্রিনহাউস গ্যাসের ভূমিকা রয়েছে।

বন উজাড়

বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো বন উজাড় করা। বন আমাদের গ্রহের ফুসফুস হিসেবে কাজ করে। এরা বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন নিঃসরণ করে। কিন্তু বাংলাদেশে বন ধ্বংসের হার অনেক বেশি। বন উজাড় করার ফলে এই প্রক্রিয়াটি ব্যাহত হচ্ছে এবং বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে। এই অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে কাজ করে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে।

বন উজাড় করার ফলে বাংলাদেশে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা ও ঘন ঘন ঘটনা বাড়ছে। বনগুলো মাটির ক্ষয় রোধ করে এবং পানির স্তর বজায় রাখে। বন ধ্বংসের ফলে মাটির উর্বরতা হ্রাস পায়, নদী-নালা ভরাট হয়ে যায় এবং বন্যা ও খরা সংঘটিত হয়। এছাড়াও, বন উজাড়ের ফলে জীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

 

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি

গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে এবং সমুদ্রপানির আয়তন বাড়ছে, ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের মতো একটি নিম্নভূমি দেশের জন্য এই পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ।

সমুদ্রপৃষ্ঠ উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলো ক্রমাগত ক্ষয় হচ্ছে, লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে ফসল নষ্ট হচ্ছে এবং মানুষের বসবাসের উপযোগীতা হারাচ্ছে। এছাড়াও, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস এবং ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা বাড়ছে। এর ফলে কৃষি উৎপাদন কমে যাচ্ছে, খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে এবং অসংখ্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে।

 

অন্যান্য মানবিক কারণ

জনসংখ্যা বৃদ্ধি, শহুরীকরণ, এবং অপরিকল্পিত উন্নয়নও জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রাখছে। অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন বড় নদীর পাশে শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে এবং সেসব শিল্প-কারখানার বর্জ্য পদার্থ নদীর পানিতে ফেলা হচ্ছে। এতে করে নদীতে থাকা মাছ এবং অন্যান্য প্রাণী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এসব কারণেও বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে।

 

এছাড়াও, শহরের দিকে মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি হওয়ার কারণে শহরে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা গড়ে উঠছে। এসব শিল্প-কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া পরিবেশ দূষিত করছে। বিভিন্ন যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া পরিবেশ দূষিত করার মাধ্যমে দেশের জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব ফেলছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধিও জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রধান কারণ। অপরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলার কারণে দেশের পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে।

 

গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ, বন উজাড়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং অন্যান্য মানবিক কারণে বাংলাদেশের জলবায়ু ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ বৃদ্ধিই এসব কারণগুলোর মাঝে অন্যতম। দেশের জলবায়ু পরিবর্তন হওয়ার কারণে জনজীবন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং দেশের অর্থনীতি, সমাজ এবং পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।